Call Us: +8801818-126351
0
0
No products in the cart.

Welcome to Annoor Online Shopping Store!

Shopping Cart

খলিসা ফুলের মধু ১ কেজি

খলিসা ফুলের মধু ১ কেজি

৳ 1,299

Quantity

খলিশা ফুলের মধুকে পদ্ম মধু বলা হয়। এর দ্বারা একে অনেক উৎকৃষ্ট মানের মধু হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। মূলত খলিশা ফুলের মধু অনেক বেশি সুস্বাদু ও মিষ্টি ঘ্রাণ যুক্ত হয়ে থাকে। যে কারণে সবাই এই মধু অনেক বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে খলিশা ফুলের মধুর ব্যাপক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে

হৃৎপিণ্ড একটি প্রাণীর জন্য সব থেকে বড় পাওয়ার হাউজ। এখানে সমস্যা দেখা দিলে প্রাণী যেমন নিস্তেজ হয়ে যায় তেমনি ধীরে ধীরে প্রাণ হারিয়ে ফেলে। এই জন্য আমাদের এই অঙ্গের যত্ন নিতে হয়। তো আমরা প্রতিদিন যে ধরনের খাবার গ্রহণ করি ও যে পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করি তাতে হৃৎপিণ্ড এবং এর স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি কমানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন হয় উৎকৃষ্ট মানের টনিক। খলিশা ফুলের মধু হৃৎপিণ্ড এবং এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। 

রক্তের উপাদান বৃদ্ধি করে

এই মধু নিয়মিত সেবন করলে রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিন সহ অন্যান্য উপাদানের অভাব পূরণ হয়। অর্থাৎ এই মধু নিয়মিত খেলে রক্তের উপাদান সঠিক মাত্রায় উৎপন্ন হয় এবং তা স্বাভাবিক রক্ত চলাচল নিশ্চিত করে। 

হজম বৃদ্ধি করে 

মধুকে একটি উৎকৃষ্ট মানের হজমবর্ধক বলা হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মধু প্রাকৃতিকভাবে এনজাইমের কারখানা হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে খালি পেটে মধু খেলে তা পেটের মধ্যে থাকা দূষিত গ্যাস বের করে দেয়। এতে থাকা এনজাইমগুলো হজম কোষ গুলোকে সচল করে এবং প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে। এই কারণে যখন হজম শক্তি কমে যায় তখন নিয়মিত খলিশা ফুলের মধু খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। এটি ধীরে ধীরে দেহে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পেটের জ্বালাপোড়া, আলসার ইত্যাদি সমস্যার পেছনে কোষ্ঠকাঠিন্য দায়ী। এই সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের সবসময় তরল ও নরম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। তবে যদি কোনো কারণে এই সমস্যা হয়ে যায় তাহলে খলিশা ফুলের মধু সেবনে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে

মানবদেহে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন হয় নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের। কারণ পুষ্টিকর খাদ্য থেকে দেহে প্রয়োজনীয় আমিষ, শর্করা, ভিটামিন এবং খনিজ প্রবেশ করে। এগুলো ক্যালোরি আকারে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। 

তো সেই প্রাচীন কাল থেকেই মধুকে একটি শক্তিবর্ধক হিসেবে সেবন করা হয়। বিশেষ করে খলিশা ফুলের খাঁটি মধু অনেক পুষ্টি সম্পন্ন একটি মধু। এতে থাকে পুষ্টি উপাদান দেহের পুষ্টির তারতম্য ঠিক করে ও নিয়মিত সেবনে নিয়ন্ত্রণ করে। 

ফুসফুসের সমস্যা দূর করে

মধু ফুসফুসের সমস্যা দূর করার জন্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যক্ষ্মা থেকে শুরু করে ফুসফুসের ইনফেকশন সহ প্রায় সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করার পেছনে মধু কাজ করে। বিশেষ পদ্ধতিতে ও সঠিক উপাদান মিশ্রিত করে খলিশা ফুলের মধু দিয়ে ফুসফুসের সমস্যার নিরাময় করা সম্ভব। 

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

ধারণা করা হয়ে থাকে গাজর গুঁড়ো করে তা খলিশা ফুলের মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 

আমাশয় দূর করে

পেটের এই জটিল রোগ ঠিক করার জন্য মধু অনেক ভালো কাজ করে। বলা হয়ে থাকে বরই গাছের ছালের গুঁড়ার সাথে খলিশা ফুলের মধু মিশিয়ে খেলে আমাশয় অনেক দ্রুত ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া আমাশয় দূর করার জন্য বেল এবং আমের বাকলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। 

পেটের প্রদাহ দূর করে

সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধুতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিমাইক্রোবিয়াল থাকে। যেগুলো পেটের নানা ধরনের পিরা থেকে মুক্ত রাখে। তাছাড়া দেহের যে কোন ঘা ও ব্যথা দূর করার জন্য খলিশা ফুলের মধু অনেক ভালো কাজ করে। 

রূপচর্চায় উপকার করে 

মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। অর্থাৎ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যে যে প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োজন তার সবকিছু সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধ্যে উপস্থিত। এই কারণে বিভিন্ন রূপচর্চার জিনিসপত্র তৈরি করার সময় মধু ব্যবহার করা হয়। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সুন্দরবনের খলিশা ফুলের কোনো জুড়ি নেই। এতে থাকা এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান দেহের মধ্যে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

খলিশা ফুলের মধু রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে যে কারণে এর প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে। 

কফের সমস্যা দূর করে 

ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে প্রাচীন কাল থেকেই মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের খাঁটি মধু যে কোনো কফের সমস্যা দূর করার জন্য পারদর্শী। 

খলিশা ফুলের মধু কীভাবে খাবেন?

মধু খাওয়ার সব থেকে উৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে খালি পেটে। সাধারণত প্রতিদিন সকালে এবং ঘুমানোর ঠিক এক বা দুই ঘণ্টা আগে মধু খাওয়া উত্তম। এছাড়া রুটির সাথে অথবা শরবত বানিয়ে যে কোন সময় তা খাওয়া যেতে পারে। সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু যে কোনো সময় খাওয়া যায়। তবে অবশ্যই পরিমাণ মত এবং গরম পানি ব্যতীত খেতে হবে। নিচে আরও কি কি উপাদানের সাথে এই মধু খাওয়া যায় তা দেওয়া হলো। 

  • চিনির বিকল্প হিসেবে খলিশা ফুলের মধু খাওয়া যায়। 
  • শরবতের সাথে এই মধু খাওয়া যায়। 
  • রুটি অথবা পিঠার সাথে এই মধু খাওয়া যেতে পারে। 
  • জেলি হিসেবে খাও যাবে। 
  • ঔষধ হিসেবে সেবন করা যায়

উপরে বর্ণিত পদ্ধতি বাদেও আরও অনেক ভাবেই এই মধু খাওয়া যায়। তবে সর্বোচ্চ পরিমাণ ফলাফল ও উপকারিতা পেটে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া উত্তম। 

0.00

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Submit Your Review

Please login to write review!

Upload photos
You can upload up to 6 photos, each photo maximum size is 2048 kilobytes

Related products